বিদায়ী ১৪২৯ বাংলা কে বিদায় জানিয়ে নববর্ষ ১৪৩০ কে স্বাগত জানাতে নানান রঙ্গের কাগজের ফুল ও লঙ্গর দিয়ে সাজানো হয় চাঁদনীঘাট সুরমা নদীর পাড়।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশু থেকে শুরু করে নানান বয়সের শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মুখোর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ভবতোষ রায় বর্মন রানা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, অন্যতম পরিচালক অনুপ কুমার দেব, অর্ধেন্দু কুমার দাশ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল আজাদ, এনায়েত হাসান মানিক, উত্তম সিংহ রতন, নাট্য পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি নিরঞ্জন দে যাদু, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শামসুল বাসিত শেরো, ইমজার সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমেদ, নাট্য পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি সুপ্রিয় দেব শান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এখলাছ আহমেদ তন্ময়, অর্থ সম্পাদক অচিন্ত কুমার দে, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক দিবাকর সরকার শেখর, নির্বাহী সদস্য তন্ময় নাথ তনু, আব্দুল বাসিত সাদাফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সিলেট জেলা সংসদ, কথাকলি সিলেট, নগরনাট সিলেট, পাঠশালা, তারুণ্য, মৃত্তিকায় মহাকাল সিলেট। বর্ণাঢ্য এই সাংস্কৃতিক আয়োজনে ফুটে উঠে বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির জয়গান।
এসময় সকল অপসংস্কৃতি ও পশ্চাৎপদ চিন্তার বিরুদ্ধে সংস্কৃতির আলো দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সিলেটের সংস্কৃতিজন। নতুন বছরে একটি দুর্বার সাংস্কৃতিক জাগরণের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশের পথে অগ্রসর হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। পাশাপাশি তারা নারী-পুরুষের বৈষম্য, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে সংস্কৃতির শক্তিতে জেগে ওঠার আহ্বান জানান।
সকলকে নাট্য পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয়।