সহিংসতা ছড়াতে অস্ত্র মজুদ করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি চলমান আন্দোলনে সহিংসতা ছড়াতে আগ্নেয়াস্ত্র এনে মজুদ করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, তারা মনে করে অস্ত্র শক্তি হলো আসল শক্তি। যারা অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতায় আসে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকার কথা নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্তের এপার থেকে খবর পাচ্ছি, অস্ত্র কিনছে তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটি ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে তারা মজুদ করছে।

তিনি বলেন, ‘বিদেশিদেরকে কী করে বোঝাব যে, বিএনপি এমন একটা দল, সেই দলকে গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবে। এ গ্যারান্টি না দিলে তারা কখনও চলমান নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হবে না।’

আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু একটা নির্বাচন আমরা করতে চাই। এটা আমাদের জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন তো ইন্ডিপেন্ডেন্ট করেছি।

শেখ হাসিনার কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা আজকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীনে সাব অফিস নয়, নির্বাচন অফিস এখন একটা স্বাধীন অফিস। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এই ইনিশিয়েটিভ প্রধানমন্ত্রীর। নির্বাচন ব্যবস্থায় কারচুপি, জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপি ভোটে জিততে পারবে না বুঝে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ভোটের পর কম্বোডিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটা আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত, কম্বোডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। কম্বোডিয়ায় বিরোধীদল অংশ নেয়নি, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এখানেও যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, সেটা কার অপরাধ?

বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে কাদের বলেন, এখন থেকে আর নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। নির্বাচন পর্যন্ত সব সময় সর্তক থাকতে হবে। সংঘাত আমরা করব না। আমরা মাঠে সতর্ক থাকব।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এদিন মতবিনিময় সভা করেন কাদের।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ ফারুক খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী।