সর্বজনীন পেনশন শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যমূলক: শাবিপ্রবি শিক্ষকবৃন্দ

সর্বজনীন পেনশন স্কিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দিয়ে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালনকালে এসব কথা বলেন বক্তারা।

এ সময় শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল গণি, অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মস্তাবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম আমিন প্রমুখ।

সার্বজনীন পেনশনকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের মেধা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে। চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ফলে শিক্ষকরা আজ চরম উৎকন্ঠিত ও অসন্তুষ্টিতে পর্যুদুস্থ। এর ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতা নামক মহান পেশা থেকে দূরে সরে যাবে এবং দেশের মেধা বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। এটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ অবস্থা উত্তরণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে।’

শিক্ষক নেতারা আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন। কিন্তু অদ্যাবধি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আশানুরূপ কোন পদক্ষেপ নেওয়ায় কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছে।’

অনতিবিলম্বে শিক্ষকদের দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করে দ্রুত শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষক নেতারা।

প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে শাবি শিক্ষক সমিতি ২৫ থেকে ২৭ জুন ৩ দিন অর্ধ দিবস, ৩০ জুন পূর্ণ দিবস এবং আগামী পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল ৮ থেকে দুপুর ১টা কর্মবিরতি ও দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন তারা।