সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে শিগগিরই আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোস্ট বাধ্যতামূলক করে আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণই নয়, যুব সমাজকে মাদকদ্রব্যের ছোবল থেকে রক্ষার কাজও করছে বাহিনীগুলো। আর এজন্য প্রতিবেশী দেশ থেকে মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও কাজ করছে সরকার।
গত ২০২০-২১ সালে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ মাদক সংশ্লিষ্ট ২০ হাজারেরও বেশি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভয়ঙ্কর ইয়াবা ও আইস মিয়ানমার থেকে আসছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেদেশকে (মিয়ানমার) অনুরোধ করেছি, তারা কথা রাখেন না। ইয়াবা সাপ্লাই বন্ধ করতে বলেও কাজ হয়নি। তবে ভারত সরকার ইতোমধ্যে সীমান্তঘেঁষা ফেনসিডিল কারখানাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের অনেকেই মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা মিয়ানমার থেকে এ দেশে মাদক নিয়ে আসে। মিয়ানমার সীমান্তে ইতোমধ্যে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মাদকের সঙ্গে যারাই জড়িত; প্রশাসন বা রাজনীতিক সবাইকে আইনের মুখোমুখি করা হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টোলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে।