উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। এই দেশ ইনশাআল্লাহ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তাতে এটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি। আমাদের দেশে মেট্রো রেল চালু হয়েছে, পাতাল রেল চালু হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল করে দিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে আমরা করেছি।
টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে এই দেশ আমরা স্বাধীন করেছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই এদেশের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, পরের কাছে যেন হাত পেতে চলতে না হয়।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করোনা অর্থনীতির ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করেছে। তার সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এ যুদ্ধের কারণে শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। আমাদের এখান থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে হবে। সেজন্য আমি আহ্বান করেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যত অনাবাদি জমি আছে সবগুলো আবাদ করতে হবে।
উৎপাদন বাড়াতে আনসার সদস্যদের ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের আনসার ভিডিপি সদস্যরা গ্রামপর্যায়ে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন। গ্রামের লোকদের শেখানো, ফসল উৎপাদনে, সংরক্ষণে বিরাট অবদান আপনারা রাখতে পারেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা চাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের আনসার বাহিনী চলতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি।
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এ বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন সরকার প্রধান।