হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা রুবেল মিয়া। সারাদিন রিকশা চালিয়ে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে মা, স্ত্রী আর দুই সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের সংসার টেনেটুনে কোনরকম চলে তার।
সম্প্রতি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম বাড়ায় রুবেল মিয়ার সংসার চালানোই এখন ভীষম দায়। এরই মাঝে গত কয়েক মাস আগে দশমাস বয়সী পুত্র সন্তান ইশরাক ইসলামের হার্নিয়া ধরা পড়ে। অপারেশন করাতে যে টাকা দরকার তার কিছুই নেই রুবেল মিয়ার কাছে। চোখের সামনে অসুস্থ্য সন্তানের চিকিৎসা আর সংসার খরচ চালানোর চাপে হতাশা আর ক্ষোভে কান্নাজড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করেই বললেন “সংসার চালাইমো না ছেলে বাচাইমু?
রুবেল মিয়া জানান- ‘সারাদিন রিকশা চালিয়ে যে টাকা পাই তা দিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালাই। রিকশা কেনার সময় এনজিও থেকে ঋণ নিছিলাম। এখন সব জিনিষপত্রের দাম বেশী, যে টাকা কামাই করি তা সংসার চালানো, কিস্তি দেয়াতেই চলে যায়। মাস শেষে ঋণই থাকে। দশমাস বয়সী বাচ্চাটার হার্নিয়া হইছে। ডাক্তার কইছে অপারেশন লাগবো, চল্লিশ/পয়তাল্লিশ হাজার টাকা লাগে। সদর বাজারে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য উটাইছি, হাজার দশেক টাকার মত উঠছে। এখন সংসার কেমনে চালাইমু আর ছেলের চিকিৎসা কেমনে করাইমো।’
রুবেল মিয়ার স্ত্রী ফাতেহা আক্তার বলেন- ‘স্বামী যা রুজি করে তা দিয়ে ঠিকমত সংসারই চলে না, এখন ছেলের চিকিৎসা কিভাবে করাবো। আমার বাচ্চাটারে আপনারা বাঁচাইন।’
পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মজিঁদ মিয়া জানান- ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে যতটুকু সহায়তা করা যায় আমরা করবো।’