মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাতগাঁও চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল মতিনের এর বাংলোতে ডাকাতির ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডাকাতির এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা জেলার কোতায়ালী থানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সবুজ মিয়া (৪৭), বশির আহমদ (৩৫), সফিক উদ্দিন (৪০) ও মিঠুন দাস (২৫)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বাগানের বাংলো থেকে লুট হওয়া স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় মৌলভীবাজারে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম বার।
পুলিশ সুপার বলেন, ডাকাতির সংবাদ পাওয়া মাত্রই শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করে। ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন, আসামিদের গ্রেপ্তার এবং লুষ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম এবং থানার একটি চৌকস দল অভিযান শুরু করে।
গোপন সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার অন্তর্গত ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জনৈক হাজী মোস্তফার মালিকানাধীন বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেও জানান পুলিশ সুপার মনজুর রহমান।
পুলিশ সুপার লিখিত বক্তব্যে আরও জানান গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৪জন ডাকাত ছাড়া আরও কয়েকজন ডাকাতের তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-ঠিকানা গোপন রাখা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর রাত অনুমান দেড়টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একটি ডাকাতদল সাতগাঁও চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল মতিনের বাংলোতে প্রবেশ করেন। আব্দুল মতিন এবং তার স্ত্রী ও অন্য সদস্যদরে হাত-পা বেঁধে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৮০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য মালামাল লুট করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়।