কমলগঞ্জে রাজারগাঁওয়ে তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেছেন, বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে সেই জায়গায় রাম মন্দির উদ্বোধনে মুমিনদের হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় প্রথমে বাবরি মসজিদ পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। সকল প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে মোদি সরকার বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে এবার সেই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। এতে ভারতসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে। ভারতের সংবিধানে স্বাধীনভাবে ধর্ম-চর্চার কথা উল্লেখ থাকলেও মোদি সরকার তা কখনোই মানেনি। মুসলিম উম্মাহকে এব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় রাজারগাঁও ইসলামী যুব সংঘ আয়োজিত তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।

মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন রাজারগাঁও জামে মসজিদের খতীব মাওলানা রুহুল আমীন ও মোতাওয়াল্লী মো. আলতাফুর রহমান।

আয়োজক কমিটির সদস্য আইনুল হুদার ব্যবস্থাপনায় প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা পেশ করেন গাংকুল মনসুরিয়া ফাজিল মাদরাসা বড়লেখার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা খালেদ আহমদ ভানুগাছী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন মাওলানা মু’মীনুর রহমান, মাওলানা খায়রুল ইসলাম নিজামী, মাওলানা শোয়েব আহমদ চৌধুরী ও মাওলানা আব্দুল বাছির।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী মো. মামুনুর রশীদ, সমাজসেবক মো. ইয়াকুব আলী সিরাজী ও কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মাহমুদ আলী প্রমুখ।

মাহফিলে এলাকার গণ্যমান্য ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং আপামর জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেন, প্রকৃত মু’মীন হতে হলে পাঁচটি গুণ অর্জন করতে হবে এবং এসব গুণ অর্জনকারীরা তিনটি পুরস্কারে ভূষিত হবেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা আনফালের দুই থেকে চার নাম্বার আয়াতে কারীমায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে। যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে। তারাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট উচ্চ মর্যাদাসমূহ এবং ক্ষমা ও সম্মানজনক রিযক।