মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চেতনানাশক মিশানো খাবার খেয়ে একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচজন অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ্যদের প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অসুস্থ্য হওয়া গোপাল দোষাদ (৪০), তার স্ত্রী শান্তি দোষাদ (৩৫), মেয়ে বৃষ্টি দোষাদ (১৮), ছেলে আকাশ দোষাদ (১৪) ও অঙ্কুশ দোষাদ (৭)কে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে রাত ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তারা মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
অসুস্থ্য হওয়া শান্তি দোষাদ বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমার মেয়ে চা বানিয়েছিলো। চা খাওয়ার পর মনে হয়েছে নাকে মুখে গ্যাসের মতো বের হচ্ছে। পরে দেখী সমস্যাটি আমার পরিবারের পাঁচ জনেরই । আমার বড়ছেলে হঠাৎ করে বমি করতে শুরু করে। আমি আমার প্রতিবেশীর বাসায় গিয়ে তাদেরকে সাহায্য করার কথা বলতে গিয়ে সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যাই। পরে প্রতিবেশীরা আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রান্নাঘরের জানালা দিয়ে কেউ হয়তোবা চেতনানাশক কিছু খাবারে দিয়ে দিয়েছে। আমরা সেটা খেয়েই অসুস্থ্য হয়েছি। চা তো আমরা রোজ খাই। আমার মনে হয় কেউ শত্রুতা করে খাবারে কিছু মিশিয়ে দিয়ে ক্ষতি করতে চেয়েছে।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অজন্তা দেবী বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে শিশুসহ পাঁচজন ভর্তি হয়েছিলো। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিলো। বাকিরা কথাবার্তা বলতে পারছিলেন। কিছুটা সুস্থ্য লাগছিলো। কি খেয়ে তারা অসুস্থ্য হয়েছেন সেটা বুঝা যাচ্ছে না। তবে লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে ঘুমের ঔষধ জাতীয় কিছু খেয়ে তাদের এমনটা হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে যতটুকু সম্ভব আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’