যৌন হয়রানী ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী ‘যৌন হয়রানী, নিপীড়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জন সচেতনতা মূলক পোস্টার প্রদর্শনী’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় ফিতা কেটে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভিসি।
উদ্বোধনকালে ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, যৌন হয়রানী, নিপীড়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতা স্থানীয় বা জাতীয় কোনো প্রপঞ্চ নয়, বরং বৈশ্বিক প্রপঞ্চ। উন্নত, স্বল্পোন্নত, অনুন্নত সকল দেশেই নারীরা কোন না কোন ভাবে যৌন হয়রানী, নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হন। নারীদের অধিকারের ব্যাপারেও এক প্রকার উদসীনতা দেখা যায়। অথচ নারীর অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার।
তিনি আরো বলেন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহনে যৌন হয়রানী, নিপীড়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্স এর ডিন অধ্যাপক ড. তাহের বিল্লাল খলিফা, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. মাহফুজুল হাসান, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. ইমরান উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ রানা, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক দেবাশিষ রায়, প্রভাষক সৈয়দা নাজমুর শিয়া মুনা, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক জেসি সাহা, প্রভাষক মুনমুন দেবনাথ, যৌন হয়রানী ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের আহবায়ক ড. রমা ইসলাম, সদস্য সানজিদা চৌধুরী, সদস্য মিতু আক্তার প্রমুখ।
যৌন হয়রানী ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের আহবায়ক ও ইংরেজী বিভাগের প্রধান ড. রমা ইসলাম বলেন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির যৌন হয়রানী ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল যৌন হয়রানী, নিপীড়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে এক পোস্টার অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। শতাধিক প্রতিযোগীর আঁকা পোস্টার থেকে নির্বাচিত পোস্টারসমূহ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।