সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে হবে। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে তাদের পড়ালেখা শেখাতে হবে। তবেই সেটা ফলপ্রসূ হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চাই। যাতে তারা পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে। এ কথা মাথায় রেখেই সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শিক্ষাক্রেত্রে অনেক অবদান রেখে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্ননের জন্য যিনি রাজনীতি বেছে নিয়েছেন, সেই মহৎ মানুষটি এবং তার পরিবারের সদস্যদের রয়েছে ক্রীড়াঙ্গনে বর্ণাঢ্য পদচারণা। রয়েছে স্বর্ণোজ্জ্বল অতীত, রয়েছে ক্রীড়ার প্রতি অনুরাগ আর অবদানের অসংখ্য স্বাক্ষর। বঙ্গবন্ধুর পরিবার এদেশের ক্রীড়াঙ্গনের বাতিঘর। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ও ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বছর শেষে বিনামূল্যে বই বিতরণ করছেন।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরস্থ দক্ষিণ সুরমা সরকারি হাইস্কুলে বার্ষিক সাংস্কৃতিক আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
দক্ষিণ সুরমা সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বেগম নুছরত হকের সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক সুব্রত চক্রবর্তী ও সহকারী শিক্ষক রওনক জাহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ।
অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিশনার বাবলী পুরকায়স্থ, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম, সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুর আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সময় টিভি সিলেটের ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবীর ইকু ও জৈন্তা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানা জাফরীন রোজী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক সহকারী শিক্ষক পূর্ণিমা তালুকদার।