শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আশরাফুল আহসান জিতু। তিনি এ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
বুধবার (৬ জুলাই) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন জিতু।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদুল হক তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছিল আশরাফুল আহসান জিতুকে।
এর আগে ৩০ জুন জিতুর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান।
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২৫ জুন স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে উৎপল কুমার সরকারকে গুরুতর আহত করেন জিতু। এরপর তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুন ভোরে মৃত্যু হয় তার।
উৎপল কুমার ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি। জিতুও একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের বড় ভাই অসীম কুমার সরকার আশুলিয়া থানায় ওই ছাত্রের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এরপর ২৯ জুন (বুধবার) সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।