শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত সবুজ বাংলা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এক ওয়েটারের বিরুদ্ধে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম শৈশব আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে খাবার খেতে রেঁস্তারায় যায় ওই শিক্ষার্থী। এসময় জহির নামের এক ওয়েটারের অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে ওয়েটারের সাথে ওই শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় ওয়েটার কর্তৃক মারধরের শিকার হন শিক্ষার্থী শৈশব আহমেদ। পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক জড়ো হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করার দাবি জানান। একইসাথে অভিযুক্ত ওয়েটারকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমে শৈশব আহমেদ বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমি সবুজ বাংলায় ভাত খাইতে যাই। চেয়ারে বসার পর ওয়েটারকে অনেকবার ডাকলেও আমার কথা শুনে নি। পরবর্তীতে আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন ওয়েটার। এক পর্যায়ে সে আমার গালে থাপ্পড় মারে।’
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে রেঁস্তারাটিতে তালা মারে পুলিশ। একই সাথে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্টুরেন্টের ছয় কর্মীকে জালালাবাদ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এবিষয়ে জানতে হোটেল মালিক সদস্য আবুল হোসেনকে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, ‘বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ছয় জন কর্মচারী কে থানায় নিয়ে গিয়েছি। সিসি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। আপাতত কারো বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। আমরা হোটেল সীলগালা করতে পারিনা। তবে বিষয়টি মীমাংসা করা পর্যন্ত হোটেল তালা মারা থাকবে। যার চাবি আমাদের হেফাজতে আছে।’