শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী ফারদিন কবীরের আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী।
তিনি বলেন, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সুমন ভূঁইয়ার আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ফারদিন। পরে আদালত সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক সজীবুর রহমানের অনুসারী বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফারদিন কবীরের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসাও হয়। কিন্তু ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে লোহার পাইপ দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
হামলার শিকার ফারদিন বলেন, আদালতে যাওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে তাদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদলতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অভিযোগপত্র আমরা পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শিগগরই তদন্ত কমিটি ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দেবে। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, আদালতের নির্দেশনা এখনও থানায় পৌঁছায়নি। নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফারদিন কবীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান স্বাধীনের অনুসারী।