কেন্দ্রের নাম অস্পূর্ণ হওয়ায় গুচ্ছের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদেরকে কেন্দ্র জটিলতাসহ সড়কে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এতে অনেকেরই পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে সময় বিলম্ব হতে দেখা গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে তৎপর ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার (৩ জুন) বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) কেন্দ্রসহ দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল ১০টা থেকেই শাবি কেন্দ্রে আসতে থাকেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। এদিন শাবির ৫টি শিক্ষাভবন, গ্রন্থাগার, আইআইসিটি ভবন ও পার্শ্ববর্তী বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়।
তবে বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সংক্ষেপে বিজিবি ভেন্যু অপরিচিত হওয়াতে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরে চলে আসেন। এতে পুনরায় সেই কেন্দ্রে যেতে জটিলতায় পড়তে হয়েছে। এছাড়া বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনের সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সিলেট শহর থেকে কেন্দ্রে আসতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভবকদের।
হবিগঞ্জ থেকে আগত এক ভর্তি পরীক্ষার্থীর মা বলেন, ‘আমরা সাড়ে এগারোটা নাগাদ গেটের কাছাকাছি এসে যানজট আটকা পড়ি। ফলে আমাদের গেটে আসতেই প্রায় বারোটা বেজে যায়। পরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে আসতে হয়েছে। ভগবানই জানে পরীক্ষা কেমন হয়!’ এই বলতেই তার চোখে কান্না চলে আসে।
আশিকুর রহমান নামের এক পরীক্ষার্থী জানান, প্রবেশ পত্রে কেন্দ্রের নাম ও স্থান নিয়ে তাদের কাছে অস্পষ্টত তৈরি হয়। এতে অনেকে চলে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্কুলে। আবার বর্ডার গার্ড স্কুলে খুব অল্প সময়ে ভিতরে সেখানে যেতে হয়েছে। এতে সময় বিলম্ব ও ভোগান্তি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। তবে যানজট নিরসন ও ভর্তির কেন্দ্র জটিলতায় সৃষ্ট অস্পষ্টতা কাটাতে তৎপর ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভর্তি কমিটির সদস্য, প্রক্টরিয়াল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কিছুটা। তবে যারা যারা কেন্দ্র ভুল করে ক্যাম্পাসে চলে এসেছিলেন তাদের পরীক্ষা আমরা ক্যাম্পাসের ভেন্যু গুলোতে নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের বাইরে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ, প্রক্টরিয়াল টিম, নিরাপত্তাকর্মী ও বিএনসিসি সদস্যদের সহায়তায় যানজট নিরসন করতে আমরা চেষ্টা করেছি। এছাড়া সব শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে।’
উল্লেখ্য, ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষায় শাবি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ছিল ৯৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ৬ হাজার ৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৫ হাজার ৭১৭ জন। অনুপস্থিত ছিল ৩২২ জন শিক্ষার্থী। এতে জালিয়াতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।