শান্তিগঞ্জে স্কুলছাত্রীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার, আসামীরা অধরা

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী সাজনা বেগম (১৪) এর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের দুই দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পারছেনা পুলিশ। তবে সাজনা বেগমের হত্যা রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।

এদিকে স্কুলছাত্রী সাজনার রহস্যজনক হত্যাকান্ডে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ময়না তদন্ত শেষে রবিবার (২৩ জুলাই) রাজনার লাশ দাফন করা হলেও তার পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

সাজনার পিতা ইসরাইল আলীসহ এলাকাবাসীর একটাই দাবি এই ধরনের হৃদয় বিদারক হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকান্ডে জড়িতদেরেকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। এজন্য থানা পুলিশসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তারা।

এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাতে নিহত সাজনা বেগমের বাবা ইসরাইল আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একাধিক আসামী করে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পাথারিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য নিহত সাজনার আত্মীয় আব্দুর রাজ্জাককে থানায় নিয়ে এসে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এব্যাপারে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ থানার দায়িত্বে থাকা সার্কেল এসপি সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশীষ ধর বলেন, স্কুলছাত্রী হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য অনবরত অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। যেকোন মূল্যে রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না

উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই সন্ধ্যায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের শরীফপুর তালুকদার বাড়ী সংলগ্ন গ্রাম্য রাস্তার পাশ থেকে পাথারিয়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার মেয়ে সাজনা বেগম (১৬) নামে এক কিশোরীর বস্তাবন্দি লাশ নজরে আসে এলাকাবাসীর। পরে খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ স্কুলছাত্রী সাজনা বেগমের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।