সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ২৫টি মসজিদ-মন্দিরে ৩ লক্ষ করে মোট ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের (শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর) সাংসদ এম এ মান্নান।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২৫টি মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক উপাসনালয়ে ৩ লক্ষ করে মোট ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বরাদ্দ অনুমোদনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসাইন।
বরাদ্দ পাওয়া মসজিদ-মন্দিরগুলো হলো, শিমুলবাঁক ইউনিয়নের গোবিন্দপুর জামে মসজিদ, রাগুনাথপুর জামে মসজিদ, ঢালাগাঁও জামে মসজিদ, পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদ, দক্ষিণ গাজিনগর জামে মসজিদ, পাথারিয়া পঞ্জরিতি কবরস্থান, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের জগন্নাথ জিউর আখড়া, শত্রুমর্দন সনাতন সংঘের দুর্গা মন্দির, নিদনপুর কৃষ্ণতলা কালি মন্দির, বাঘেরকোণা মোকামবাড়ি জামে মসজিদ, কাদিপুর মোকাম জামে মসজিদ, পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দামোদরতপী কৃষ্ণতলা জামে মসজিদ, কুদিরাই উত্তরপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ, পিঠাপশী উত্তরপাড়া জামে মসজিদ, রনশী পূর্ব পাড়া হাজি বাড়ি জামে মসজিদ ও দামোদরতপী-মাহমদপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ।
এছাড়া পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব বীরগাঁও বাজার মসজিদ, বাবনগাঁও শশ্মানঘাট চুলা নির্মাণ, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা বাজার মসজিদ, জয়সিদ্ধি বসিয়াখাউরি মাদ্রাসার ঈদগাহ, জয়কলস ইউনিয়নের বায়তুল মোকাররম নোয়াখালী বাজার জামে মসজিদ, শান্তিগঞ্জ আব্দুল মজিদ জামে মসজিদ, ডুংরিয়া বাজার মসজিদ, ঘরুয়া পাঞ্জেখানা মসজিদ, ডুংরিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ উন্নয়নের কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদ-মন্দিরে বরাদ্দ প্রদান করায় পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ উপজেলার মানুষজন। মন্ত্রীর এমন উদ্যোগে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সর্বশ্রেণির মানুষ।