শান্তিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো দুর্গোৎসব

পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন বিজয়া দশমী আজ বুধবার (৫ অক্টোবর)। আজ দেবী দুর্গা ফিরে যাওয়ার দিন।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলাতেও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। শান্তিপূর্ণভাবে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় উপজেলার ২২টি পূজামণ্ডপে পূজা-অর্চনা, শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে দেবী দুর্গার ভক্তরা পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব উদযাপন করেছেন।

সর্বজনীন এই উৎসবের প্রত্যেক দিনই হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল বয়সের নারী-পুরুষ মণ্ডপে-মণ্ডপে গিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি দেবী দুর্গার কৃপা লাভের আশায় তারা আরাধনা করেন।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। প্রতিটি পূজামণ্ডপে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এদিকে দেবী দুর্গার বিদায়বেলায় আনন্দ-বেদনার মিশ্র অনুভূতি মা দুর্গার ভক্তদের হৃদয় সিক্ত করে তোলে। দশমীতে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন ভক্তরা।

বেলা ২টায় প্রতিমা বিসর্জনের উদ্দেশে উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের সবগুলো মণ্ডপ সম্মিলিভাবে মহাসিং নদী অভিমুখে মন্ত্রোচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে বিজয়ার শোভাযাত্রা শুরু করে। বাদ্য-বাজনার তালে তালে শোভাযাত্রাটি পাগলা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে পশ্চিম পাগলার ডাবরস্থ মহাসিং নদী তীরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিভিন্ন মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

ত্রিনয়নী পূজা উদযাপন সংঘের অন্যতম আয়োজক অপু পাল ও রুপন পাল বলেন, ‘দেবী দুর্গা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে। আসছে বছর আবারও পূজার উল্লাসে মাতবো আমরা। শান্তির বাণী নিয়ে আসবেন মা দুর্গা।’

শান্তিগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা বলেন, ‘আজ দেবী দুর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দুর্গোৎসব শেষ হলো। বিগত পাঁচ দিন সকাল থেকেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই পূজায় আনন্দ-উল্লাস করেছেন। প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে আমাদের শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হয়েছে।’