শান্তিগঞ্জে ছাগলকাণ্ডে সালিশ, ফের মারামারিতে আহত ৩

শান্তিগঞ্জে বহুল আলোচিত ‘ছাগলের গায়ে কাদা মাখানোকে কেন্দ্র করে সংঘাত’ এর ঘটনা নিষ্পত্তি করতে ডাকা সালিশে আবারও সংঘাতে জড়িয়েছে দুিই পক্ষ। এতে দুই মহিলাসহ ৩ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের মানিক মিয়ার দুই মেয়ে আনছারুন বেগম (৩০) ও ইয়াছিরুন বেগম (২৬) এবং একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন (৪৫)। এর মধ্যে ইয়াছিরুন বেগম গর্ভবতী বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। আহত গিয়াস উদ্দিন বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন তার ভাই আলী হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ঘোড়াডুম্বুর গ্রামে ছাগলের গায়ে কাদা লেপ্টে দেওয়াকে কেন্দ্র আমিনুর রহমান ও ছাত্তার মিয়ার পক্ষের মধ্যে সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছিলেন। দু’পক্ষের মাঝে চলমান বিবাদ মীমাংসা করতে মঙ্গলবার উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি সালিশ ডাকা হয়। সালিশের শেষ দিকে ছাত্তার মিয়ার পক্ষের এক মহিলা স্বেচ্ছায় ঘটনার বর্ণনা দিতে চাইলেন। তাকে সুযোগ দেওয়া হলে তিনি অপরপক্ষের লোকদেরকে বাজেভাবে সম্মোধন করতে থাকেন। অপমানজনক কথা বলেন। এতেই শালিসে উপস্থিত থাকা আমিনুর রহমান পক্ষের একদল তরুণ উত্তেজিত হয়ে শালিসস্থল ত্যাগ করে ছাত্তার মিয়ার পক্ষের মানুষের বাড়িতে হামলা চালায় ও ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দু’জন মহিলা ও ১জন পুরুষ আহত হয়েছেন।

উপস্থিত সালিশ ব্যক্তিরাই উভয়পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মজিদুর রহমান মধু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বিচারে ছিলাম। সবকিছু ঠিকই ছিলো। একজন মহিলার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্তার মিয়ার পক্ষের লোকদের উপর চড়াও হয় আমিনুর রহমান পক্ষ। এটি কাম্য নয়। লজ্জার বিষয়।

উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি আবুল কালাম বলেন, যে মহিলা উগ্র বক্তব্য দিয়েছেন তার বক্তব্য আমরা কাউন্ট করিনি৷ তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বক্তব্য দিতে বলেছি। বিচার প্রায় শেষ। পরে শুনি আমিনুর পক্ষের যুবকরা বিচারস্থল ত্যাগ করে একটু দূরে মারামারি লেগে যায়। আমরা আবার বিষয়টি বিচারে মানিয়েছি। দু’পক্ষ রাজি হয়েছেন। আগামী শনিবার আবার বসা হবে। আশা করি ভালভাবে শেষ হবে।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, আমি ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।