সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাবুল মিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মইনুল হককে ভারত হয়ে ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত মইনুল হক (৩৭) দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির মৃত আসক আলীর ছেলে। ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক মইনুল হককে বেনাপোল পোর্ট থানা, শর্শা, যশোরে হস্তান্তর করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ফ্রান্স প্রবাসী মইনুল হক বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দেয়। এ সময় তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, তিনি হত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পোর্ট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন : শান্তিগঞ্জে সংঘর্ষের ৬ দিন পর হত্যা মামলা, ১৮ জন গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দ্বীন ইসলাম ও মালদার মিয়া গোষ্ঠির লোকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে সোমবার (১০ জুলাই) সকালে দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে দুইপক্ষের তিন নিহত হন। নিহতরা হলেন- দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির হাসনাবাদ গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০) ও মালদার মিয়া গোষ্ঠির আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫)। দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির নিহত বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ বাদী হয়ে মালদার মিয়া গোষ্ঠির আটক আসামী মইনুল হক সহ ৯৪ জনকে আসামী করে সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : শান্তিগঞ্জে কাঁঠালকাণ্ড : মুখলেছুরের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল!
বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তার আসামি বেনাপোল পোর্ট থানা হেফাজতে আছে। সংশ্লিষ্ট থানায় তাঁকে পাঠানো হবে। তার নামে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।