শান্তিগঞ্জে সংঘর্ষের ৬ দিন পর হত্যা মামলা, ১৮ জন গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে কাঁঠাল নিলাম নিয়ে সংঘর্ষে দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৫০), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫৫) নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুলাই) নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে মালদার মিয়ার গোষ্ঠির ৬৯ জনকে বিবাদী করে শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এঘটনায় সংঘর্ষের দিন থেকে অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।

দ্বীন ইসলাম পক্ষের মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী। এঘটনায় মালদার পক্ষও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত শুক্রবার (৭ জুলাই) হাসনাবাজ জামে মসজিদে নিলামে কাঁঠাল নিলাম নিয়ে গ্রামের মালদার মিয়া ও দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির লোকজনের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে সোমবার (১০ জুলাই) উভয় পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে সংঘর্ষের দিন দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৫০), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫৫) ও মালদার মিয়া গোষ্ঠির আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৫) মারা যান।

এঘটনার ৬ দিন পর দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে মালদার মিয়া গোষ্ঠির ৬৯ জনকে আসামী করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী জানান, নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিয়েছেন। মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যপক্ষও একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।