লাখাইয়ে অর্থ আত্মসাৎ, কারাগারে প্রধান শিক্ষক

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় অর্থ আত্মসাতের মামলায় মুড়িয়াউক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাকির হোসেন ওই প্রধান শিক্ষকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে ওই মামলার অপর আসামি একই স্কুলের অফিস সহকারী শাহ মো. জসিম উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং কমিটির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান মোল্লা বাদী হয়ে গত ৬ জুন লাখাই থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

নুরুজ্জামান মোল্লা জানান, মুড়িয়াউক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টিউশন ফি বাবদ সরকার থেকে পাওয়া টাকা লেনদেনের জন্য একটি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব হিসেবে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাবটি পরিচালিত হয়। নুরুল আমিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকার সময় চেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুজ্জামান মোল্লার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মোট ৯ বারে ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩ শত ৮০ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেন।

২০২০ সালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নুরুল আমিনকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ হতে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে সৈয়দা সুলতানা দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্যাংক থেকে শিক্ষকদের বেতনের টাকা উত্তোলন করতে গেলে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।

নুরুজ্জামান মোল্লা এ ব্যাপারে জানতে পেরে নুরুল আমিন ও তাকে সহায়তাকারী জসীমউদ্দীনের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে না পেলে মামলা দায়ের করেন।