তপ্ত আবহাওয়ায় প্রকৃতি বিবর্ণ। গরমের তাপমাত্রা এত বেশি যে মানুষ পানিশূন্যতায় ভুগছে। অন্যদিকে রোজাও চলছে। এ সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা প্রয়োজন।
শরীরে পানিশূণ্যতার কারণ
রোজা ও গরমকাল একসাথে পড়ে যাওয়ায় বেশ ধকল যাচ্ছে মানুষের। কাজের জন্য আমাদের অনেকেরই ঘরের বাইরে যেতেই হচ্ছে। এজন্য শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে ঘাম বের হচ্ছে। যার ফলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
সেহরি ও ইফতারে পানি পানের নিয়ম
সাহরি ও ইফতারে নিয়ম করে পানি খেতে হবে। ইফতার করার পর থেকে সেহরি পর্যন্ত কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে।
ইফতারে তরল জাতীয় খাবার
প্রচণ্ড গরমে ভাজা-পোড়া না খেয়ে ফলের জ্যুস, স্যুপ, টক দইয়ের মাঠা, টক দইয়ের লাচ্ছি রাখলে ভালো হবে। বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ এখন পাওয়া যাচ্ছে। তরমুজ ও বাঙ্গি খেলে পানির চাহিদা মিটবে। এছাড়া ডাবের পানি, শরবত, লেবু মধু পানি, ইসুবগুলের মিশানো পানি, স্যালাইন, তোকমাদানা এসব শরীরের জন্য এখন উপকারী হবে।
কেমন হবে রাতের খাবার
ইফতারের পর রাতের খাবারে শাক কিংবা সবজি রাখা যেতে পারে। কাঁচা পেঁপে, লাউ, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া এই সবজিগুলোতে পানির মাত্রা বেশি থাকে। তাই সবজিগুলো নরম করে রান্না করে খেলে ভালো হবে।
সারাদিন রোজা রেখে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য এ ধরণের খাবার খেতে হবে। এতে শরীর হাইড্রেট থাকবে। শরীরে ইনফেকশন হবে না। মিলবে স্বস্তিও।