রাষ্ট্র পুনর্গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে ‘বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ’র আত্মপ্রকাশ

সাম্য ও অধিকারভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির উন্মেষ এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ’।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শুক্রবার আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এ ছাত্র সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ প্রিন্স ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম নির্ঝরকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ গঠনের কারণ, উদ্যোক্তাদের রাজনৈতিক পরিচয়, দলের লক্ষ্য ও কর্মসূচি তুলে ধরেন মুহাম্মদ প্রিন্স। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের তিন মূলনীতি- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের আলোকে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য। দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণে রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত ও সচেতন ‘জনগণের সেবক’ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের কর্মসূচিগুলোর মধ্যে থাকবে- নাগরিক মূল্যবোধে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত করা; দক্ষ, কর্মঠ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি; দেশীয় মূল্যবোধের ধারণ ও চর্চা করা; জাতি গঠন ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রাখা; চিন্তা ও মননশীলতার বিকাশ করা; ছাত্র সংসদ ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি করা এবং সাংবিধানিকভাবে প্রতিবাদ করা।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমাদের ৬০-৭০ বছরের ছাত্র রাজনীতির সবচেয়ে বড় সংকট- জাতিসত্তা গঠন এবং তার মননশীলতার বিকাশে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি। শুধু ক্ষমতার বলয়কেন্দ্রিক হাতিয়ার ও লাঠিয়াল হিসাবে কাজ করতে গিয়ে ছাত্রসমাজের শুধুই অপূরণীয় ক্ষতিই হয়নি বরং পুরো রাজনীতির ব্যাপারেই একটি অনীহা জন্মেছে। ফলে দেশ ও জাতির সেবায় কোনো প্রত্যয় তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের অন্যতম উপদেষ্টা নাসির আবদুল্লাহ, অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি প্রমুখ।