‘যে যাই বলুক নেইমারই সেরা’

তুরিনে পাঁচ দিনের ক্যাম্পের প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলেন না নেইমারসহ দু’জন। ফ্লাইট জটিলতায় সোমবার প্যারিস থেকে ইতালি পৌঁছাতে দেরি হয় পিএসজির দুই তারকা নেইমার ও মারকুইনহোসের। দুই তারকা অনুপস্থিত থাকলেও জুভেন্টাসের মাঠে প্রথম অনুশীলন সেশন হয়ে উঠেছিল গোলের প্রদর্শনী। রাফিনহা, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, পেদ্রি- এই তিনজন চোখ জুড়ানো গোল করে অনুশীলন সেশনকে আনন্দময় করে তুলেছিলেন।

অনুশীলন দেখতে আসা সব চোখ যদিও খুঁজছিল নেইমারকে। যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় প্যারিসে বিমান পরিবর্তন করতে হয় পিএসজির দুই তারকাকে। তাই বিকেলে তুরিন পৌঁছান দু’জন। বিকেলের সেশনে জিমে গিয়ে অন্যদের সঙ্গে যোগ দেন তাঁরা। গতকাল অবশ্য অনুশীলনে ছিলেন নেইমার। বল নিয়ে নেইমারকে দুরন্ত গতিতে ছুটতে দেখা যায়। মাঠে ভীষণ উৎফুল্ল ছিলেন পিএসজি তারকা।

ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের সারথিকে নিয়ে সতীর্থরাও ছিলেন আনন্দমুখর। তাঁর ওপর সতীর্থদের অগাধ আস্থা। তাই তো ‘ইউরো স্পোর্ট’ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রিচার্লিসন সময়ের সেরা হিসেবে দাবি করেছেন নেইমারকে। পিএসজি তারকার জন্য তাঁরা সব কিছু করতে পারেন বলেও জানান রিচার্লিসন, ‘নেইমার পছন্দ করার মতো ছেলে। সে এমন একজন, যাঁর আমি অনেক বড় শুভাকাঙ্ক্ষী। সে আমার আদর্শ। মাঠে তাঁর সঙ্গে খেলতে পারা দারুণ বিষয়, কারণ তিনি সব সময় আমাদের জন্য গোলের সুযোগ নিয়ে আসেন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপনি মানেন আর না মানেন, নেইমার এখন সেরা। দুর্দান্ত একজন ফুটবলার। তাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে আমরা সব কিছু করব।’

অনুশীলনে নেইমারের কৌশল নিয়ে টটেনহামের এই স্ট্রাইকার বলেন, ‘নেইমার ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দেন। অনুশীলনে তিনি মজা করেন, হালকা মেজাজে থাকেন। কিন্তু যখন তিনি ম্যাচে থাকেন, তখন প্রতিপক্ষকে একবিন্দুও ছাড় দেন না।’

তুরিনের ক্যাম্পে ব্রাজিলের জন্য আরেকটি স্বস্তির বিষয় ছিল, উইঙ্গার অ্যান্থনির মাঠে ফেরা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ তারকা চোটের কারণে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। তিনি অবশ্য পুরোদমে অনুশীলন করেননি। মারকুইনহোসও চোটে ভুগছেন।
মাংসপেশিতে অস্বস্তি অনুভব করায় অক্সিরির বিপক্ষে পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচে তিনিও মাঠে নামেননি। সপ্তাহান্তে ক্লাব ফুটবল না খেলা ১৪ জন প্রথম দিনে পুরোদমে অনুশীলন করেন। বাকিরা হাজিরা দিয়েছেন শুধু।