মৌলভীবাজারে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, উচ্চ শিক্ষার প্রসারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় যুগোপযোগী শিক্ষা ও গবেষণায় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভূমিকাও অনন্য।
তারা বলেন, নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৌলভীবাজারসহ দেশ বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রযাত্রায় তারা সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে মৌলভীবাজারের একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে দু’দিন ব্যাপী ভর্তিমেলা উপলক্ষ্যে এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সুধী সমাবেশের শুরুতে মেলার উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজারের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন। সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক অনুষদ এর ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ভিজিটিং প্রফেসর, লেখক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান খান।
মৌলভীবাজারের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে সমাবেশে উচ্চ শিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান এবং সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নানা ভূমিকা ও কার্যক্রম নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের প্রধান এম এ জি আসিফ,ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক চম্পক কুমার বর্মণ।
সভায় মৌলভীবাজারের বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. দীনেশ সুত্রধর, অধ্যাপক আব্দুল মালিক, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন, এইচ এম মোস্তাক আহমদ, এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম জাবেদ, এডভোকেট আবদুল মতিন চৌধুরী, এডভোকেট তপন পাল চৌধুরী, সৈয়দ মশাহিদ আহমদ চুন্নু, সাদিক আহমদ, সাংবাদিক ও লেখক আকমল হোসেন নিপু, লেখক ও গবেষক দীপংকর মোহান্ত, আমিন উদ্দিন চুন্নু, আবদুল আহাদ খান, সৈয়দ আবদূর রশিদ মানিক প্রমুখ।
রোববার (২৩ অক্টোবর) দুই দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে। মেলা উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। মেলা সমন্বয় করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার অপু চক্রবর্তী এবং অফিস এসিস্ট্যান্ট দীপক মালাকার।