ছেলেদের সংখ্যা কেন কম এবং কেন তারা ফলাফলে মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে, তা খুঁজে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ মে) সকালে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেরা সংখ্যায় কম কেন, তার কারণ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দেন।
ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘ছেলেদের সংখ্যা কমার কথা নয়, (মেয়েদের) সমান হওয়া উচিত।’
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৫০। এর মধ্যে ছেলের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ এবং মেয়েদের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৬।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাঁর সরকার যথাসময়ে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, উচ্চশিক্ষার আগপর্যন্ত উপবৃত্তি ও বৃত্তি প্রদান করেছে এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে।
উল্লেখ্য, এবার পাসের গড় হারের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ১১টি বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এগিয়ে।
অন্যদিকে, জিপিএ-৫ অর্জনের দিকে দিয়েও বেশ এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সব বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়ে ৯৮ হাজার ৭৭৬ এবং ছেলে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। সেই হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ১৫ হাজার ৪২৩ জন।