সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।

সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কালো ব্যাজ ধারন করে প্রশাসন ভবনের সামনে হতে শোকর‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি সিকৃবির কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।

র‌্যালির নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। র‌্যালি শেষে পুষ্পস্তবক দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানান ভাইস চ্যান্সেলর, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা কর্মীরাও ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। প্রফেসর ড. মোঃ সা’দ উদ্দিন মাহফুজ শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর শহিদ বৃদ্ধিজীবি দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ভাইস চ্যান্সেলরের বাণী প্রচার করেছে সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।

ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পরও বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়েছে। বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে মেধাশূণ্য করে রাখার পরিকল্পনা করেছিলো পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এদেশীয় আলবদর-রাজাকাররা এসব হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলো। দীর্ঘ ৫২ বছরে আমরা এসকল হত্যাকারীদের বিচার করতে পারিনি। ১৯৯৬ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তবু অনেক ঘাতকদের আমরা বিচারের কাঠগড়া পর্যন্ত আনতে পরিনি। কারণ যেসব দেশ বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের সার্টিফিকেট দিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের দেশেই বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী রাজাকাররা লুকিয়ে আছে। দেশের বিভিন্ন হত্যাকান্ডের রায় হওয়া সত্বেও ওইসব পশ্চিমা দেশগুলোর অসহযোগিতার কারণে ওসব খুনীদের দেশে আনা যাচ্ছে না। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে যারা হত্যাকান্ড চালিয়েছিলো, তাদের দোসররা আবার এখন কথায় কথায় বর্তমানে যারা মুক্তবুদ্ধি চর্চা করে, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত আছে, তাদের টার্গেট করে করে এসব জঙ্গিরা খুন করে, মুক্ত চিন্তার পথ রুদ্ধ করে দেয়।” ভাইস চ্যান্সেলর, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন কীর্তির স্মৃতিচারণ করেন এবং দেশমাতৃকার প্রতি তাঁদের এই মহান আত্মত্যাগের মহিমা জাতীয় জীবনে প্রয়োগ করার জন্য সকলকে আহবান জানান।