মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সত্যিকার মানবসম্পদে পরিণত করতে। নিজ সংস্কৃতি চর্চায় বিমুখ জাতি টিকে থাকতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিরই নান্দনিক প্রকাশ। আমাদের সমাজ ও দেশের হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের যে আনন্দ-উদ্দীপনা রয়েছে, তা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নিরন্তর প্রাণিত করে চলছে। সেগুলো কখনো মুছে যাবে না। পিঠা-পার্বণের এ অনাবিল আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও ঐতিহ্য যুগ যুগ টিকে থাকুক বাংলার ঘরে ঘরে।’
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ আয়োজিত দিনব্যাপি পিঠা উৎসব ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বটেশ্বরস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে হয় এই পিঠা উৎসব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জহিরুল হক আরও বলেন, ‘পিঠা বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বাঙালি জীবনে বারো মাসে তেরো পার্বণের প্রবাদে পরিণত হয়েছে। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে প্রতিটি ঋতুর রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। প্রতিটি ঋতু বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে নিবিঢ়ভাবে। শীতকাল এলেই নানা রকমের পিঠা, পায়েস, পুলি, নাড়–-লাড্ডুর কথা স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে। শীতকালে প্রতিটি বাঙালি পরিবারে পিঠা পুলি নিত্যদিনের সঙ্গী।’
তিনি বলেন, বিজাতীয় সংস্কৃতির ছোবল থেখে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশিয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা, প্রক্টর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ, উৎসবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান ইয়াজদানি রাজুসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পরে পিঠা উৎসবের স্টলগুলো ঘুরে দেখেন অতিথিবৃন্দ।
পিঠা উৎসবে মধুপুলি, বিবিখানা, আমদশা, সন্দেশ, চন্দ্রপুলি, দুধপুলি, দুধচিতই, ফুলঝুরি, লবঙ্গ লতিকা, ক্ষীরপুলি নামের দশটি স্টল অংশগ্রহণ করে। এসব স্টলে চন্দ্রপুলি, পাকুয়ান, মধুপুলি, ফুলঝুরি, দুধ সন্দেশ, পানতোয়া, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, নারিকেল পিঠা, দুধপুলি, নারিকেল সন্দেশ, পুলি পিঠা, চই পিঠা, জামাই পিঠা, গোলাপ পিঠা, চিতই পিঠাসহ বাহারি নামের পিঠা ছিল। শীতের আমেজের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এ আয়োজন উপভোগ করেন।