মিরাজ-মোস্তাফিজের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং বীরত্বে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের এমন এক পরিস্থিতিতে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মিরাজ। খেলেন ৪১ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। আর তাতে রোহিত-কোহলিদের হতাশায় ডুবিয়ে নাটকীয় এক জয় পায় টাইগাররা।
১৮৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৬ রানেই ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের। উইকেটে ব্যাটার বলতে ১১ নম্বরে নামা মুস্তাফিজুর রহমান আর মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরপুরের পরিপূর্ণ গ্যালারি তখন একদম নিশ্চুপ। জেতার আশা একদম ছেড়েই দিয়েছিলেন মাঠে থাকা দর্শকদের অনেকে।
সেরকম একটা অবস্থা থেকে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার ভারতের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মিরাজের বীরত্বে এক উইকেটে জিতেছে লিটন দাসের দল।
অনেক দিন পর খেলা গড়ানো মিরপুরের উইকেট আজ বেশ স্লো ছিল। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলতে পারে মোটে ১৮৬ রান। অবশ্য তারা ৫০ ওভার পুরোটা খেলতে পারেনি। সাকিব আল হাসানের ঘুর্ণিতে তারা আলআউট হয়ে যায় ৪১ ওভার ২ বলেই। সাকিব নেন ৫ উইকেট।
জবাবে বাংলাদেশের শুরুটাও ততটা ভালো হয়নি। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান ওপেনার শান্ত। এরপর বিজয় ও লিটন ছোট করে জুটি বাঁধেন। ১০ম ওভারে বিদায় নেন বিজয়।
বিজয়ের বিদায়ের পর লিটন-সাকিব ভালো জুটি গড়ে তোলেন। ৪১ রান করে লিটন আর ২৯ রান করে সাকিব আউট হলে আবারও ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।
এরপর আবারও জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ। বেশি দূর যেতে পারেননি তারাও। মুশফিক করেন ১৮ আর মাহমুদুল্লাহ ফেরেন ১৪ রান করে।
এরপর একে একে উইকেট তুলে নিতে থাকেন সিরাজ ও কুলদিপ সেন। অষ্টম উইকেট হারানোর পর শুরু হয় মিরাজ ও মুস্তাফিজের ম্যাচজয়ী সংগ্রাম। দশম উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। ৩৯ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা ও ৪টি চার।
১১ বলে দুই চারে ১০ রান করেন মুস্তাফিজ। এটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে ১০ম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে, টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনের চমৎকার বোলিংয়ে ভারতকে ১৮৬ রানে গুটিয়ে দেয় স্বাগতিক দল।
সাকিব ৩৬ রানে ৫টি আর এবাদত ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করে লোকেশ রাহুল। ২৭ রান আসে রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে।
সিরিজের পরের ম্যাচ একই ভেন্যুতে বুধবার।