হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি দুই মার্কিন নাগরিককে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছে হামাস। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেছেন যে মানবিক কারণে গোষ্ঠী দুটি মার্কিন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
আবু ওবাইদা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কাতারের প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায়, আল-কাসাম ব্রিগেডস মানবিক কারণে দুই আমেরিকান নাগরিককে (একজন মা ও তার মেয়ে) মুক্তি দিয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য “আমেরিকান জনগণ এবং বিশ্বের কাছে প্রমাণ করা যে বাইডেন এবং তার ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের দাবিগুলি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন”।
তবে হামাসের এই বিবৃতি এখনও নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি ইসরাইল এবং তার প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
হামাসের দাবির প্রতিক্রিয়ায় আল জাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, এই পদক্ষেপটি দেখায় যে যুদ্ধকে প্রশমিত করতে কূটনীতি এখনও ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, “আমি ঠিক আশাবাদী নই, তবে আমি এই ভেবে আশাবাদী যে, হ্যাঁ কূটনীতির একটি ভূমিকা আছে। হামাসকে অবশ্যই সমস্ত বেসামরিক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। তাদের ধরে রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলি সীমান্ত প্রাচীর ভেদ করে দেশটির অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি প্রায় দুই’শ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। এদের মধ্যে ইসরাইলি সেনা সদস্যদের পাশাপাশি অনেক বেসামরিক লোকজন ও বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি ও যুদ্ধ বন্ধের দর কষাকষির জন্য এসব জিম্মিদের অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখা হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।