বিদ্যার দেবী বলে খ্যাত সরস্বতী পূজায় এবারও ব্যাতিক্রম আয়োজন করা হয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুরে। উপজেলার প্রত্যেক মণ্ডপ সাজানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সাজে। প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে মণ্ডপ নির্মাণে রয়েছে আধুনিকতা।
সরস্বতী পূজা মূলত ১ দিনের হলেও মাধবপুরে ২ দিনব্যাপি চলে অনুষ্ঠান। সন্ধ্যার পর থেকে মণ্ডপগুলোতে শুরু হয় দর্শনার্থী ও ভক্তদের ভিড়। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভিড় লক্ষ্য করার মত। ঢাকা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পূজার আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে আসেন মাধবপুরে।
এ বছর প্রতিটি মণ্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের পাশপাশি রাখা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
মাধবপুর পৌর শহরের বিনোদন সংঘ এবার মন্দির নির্মাণ করেছে বুর্জ খলিফার আদলে। নবোদয় সংঘ মন্দির নির্মাণ করেছে ভারতের কেদেরনাথ মন্দিরের আদলে। নিউ ইয়ং ক্লাব মন্দিরে ও কারুকাজে এনেছে বৈচিত্র। পৌর শহরের কাটিয়ারা এলাকায় লাল বাহাদুর ক্লাব, তরুণ সংঘ, সৎ সঙ্গ, নিউ স্টার ক্লাবও নিজেদের সৌকর্যের প্রমাণ রেখেছে। নোয়াগাঁও গ্রামে রংধনু ক্লাব ও ফাল্গুনী সংঘে চলছে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। প্রতিটি মণ্ডপে খরচ করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা।
মাধবপুর পৌর শহরের নিউ ইয়ং ক্লাবের আয়োজক কমিটির সদস্য আকাশ মোদক জানান, মাধবপুরের সরস্বতী পূজা বাংলাদেশের বিখ্যাত। তাই প্রতিটি মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে ভিন্ন সাজে।
মাধবপুর পৌর সভার বিনোদন সংঘের সদস্য পল্বব ভৌমিক জানান, এবার তারা বুর্জ খলিফার আদলে মন্দির নির্মাণ করেছেন।
মাধবপুর পৌরসভার বাসিন্দা সজিব রায় জানান, মাধবপুরের সরস্বতী পূজা বিখ্যাত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সরস্বতী পূজা দেখতে মাধবপুরে আসে। এবারও প্রতিটি মণ্ডপ সাজানো হয়েছে ভিন্নরকম করে।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সরস্বতী পূজাতে আনন্দময় করতে প্রশাসন সবরকম সহযোগীতা করছে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।