হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিলামে কেনা বালু বিক্রির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৮ জুলাই। তবে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি বালু বিক্রির কার্যক্রম।
এদিকে নিয়মনীতি না মেনে বালু বিক্রির কাজে বড় বড় ট্রাক ও ড্যাম ট্রাক ব্যবহার করায় আঞ্চলিক রাস্তাগুলোতে বিরাজ করছে দুর্দশা অবস্থা। তাছাড়া বালুবাহী গাড়িগুলো থেকে বাতাসের সঙ্গে বালু উড়ে গিয়ে ভোগান্তি বাড়িয়েছে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারন মানুষের।
মাধবপুর ধর্মঘর আঞ্চলিক সড়কটি কিছুদিন আগে কাপেটিং করা হয়। এরই মধ্যে সড়কের অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ভুড্ডা থেকে চৌমুহনী রাবার ড্যাম রাস্তাটিও ভেঙ্গে গেছে। বাঁশের পিলার দিয়ে একরকম মেরামত করা হয়েছে সড়কটি। বালু বিক্রির কাজে এইভাবে বড়-বড় পরিবহন চলতে থাকলে কয়েক বছরেই ভেঙ্গে পড়বে এই সড়কটি। তাছাড়া রাতবিরাতে বড় বড় ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু পরিবহন করায় সরু রাস্তাগুলোতে প্রায়ই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলার মহব্বতপুর মৌজার সোনাই নদী থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উত্তোলিত সিলিকা বালু জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে গত ৯ মার্চ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কর্তৃক নিলাম দেওয়া হলে ৩ জন ইজারাদার তিনটি বালুর স্তুপ ইজারা পান। তারা হলেন মেসার্স শান্ত এন্টার প্রাইজ, পারভেজ হোসেন চৌধুরী ও হেলাল মিয়া। গত ১০ মার্চ থেকে ৮ জুলাই তারিখ পর্যন্ত বালু অপসারনের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিলাম গ্রহীতা ও তাদের লোকজন বালু বিক্রি করছে।
নিলামে শর্ত দেওয়া হয় যে, বালু পরিবহনের সময় ভারি যানবাহন ব্যবহার করে সরকারি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। কিন্তু ইজারা গ্রহীতাগন ডাম ট্রাক দিয়ে দেদারছে বালু পরিবহন করছে। অপরদিকে সোনাই নদীর মনতলা বালু মহালটি ইজারা দেওয়া হলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত ইজারাদারকে বুঝিয়ে দেয়নি। কিন্তু তার আগেই শুরু হযে গেছে বালু উত্তোলন ও বিক্রি।
মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. মনজুর আহসান জানান, বালুমহাল গুলো জেলা প্রশাসক ও জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে ইজারা দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনকে কোন বালুমহাল ইজারাদারকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়নি।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম