মাধবপুরে এক সংখ্যালঘুকে ঘর নির্মাণে বাধা, অভিযোগেও নেই প্রতিকার

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক সংখ্যালঘু পরিবারের জায়গায় ঘর নির্মাণে দীর্ঘদিন যাবত বাধা প্রদান করছে এক প্রভাবশালী ও তার লোকজন। এই ঘটনায় ডিআইজি ও জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় নি।

জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহাম্মদপুর গ্রামের মৃত প্রফুল্ল চন্দ্র দেবের ছেলে শ্যামল চন্দ্র দেব আহাম্মদপুর মৌজায় ৩ শতক জায়গা ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে নির্মাণ কাজে বাধা দেন একই গ্রামের মোঃ মঞ্জুর আলীর ছেলে এখলাছুর রহমান রুকু মিয়া ও তার লোকজন।

এই ঘটনার জের ধরে রুকু মিয়া ও তার লোকজন শ্যামল দেবকে ২০২২ সালে মারপিট করলে শ্যামল দেব বাদি হয়ে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং-জিআর ৫৭৯/২২)। মামলা করার পর রুকু ও তার লোকজন শ্যামল দেবের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়। তারা শ্যামল দেবকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। এইসব ঘটনায় শ্যামল দেব মাধবপুর থানায় পর পর ৩ টি সাধারন ডায়েরি করেন।

দীর্ঘদিন যাবত বাড়ি নির্মাণে বাধা প্রদান ও তাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে শ্যামল দেব গত ১৬ আগষ্ট সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও গত ২ আগষ্ট হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এরপর রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে শ্যামল দেব তার নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ করার জন্য কিছু রাজমিস্ত্রি নিয়ে কাজ শুরু করলে এখলাছুর রহমান রুকু ও তার লোকজন এসে আবারও বাধা দেয়। এ সময় রুকু হুমকি দিয়ে বলে এইখানে কাজ করলে লাশ পড়বে।

রুকু ও তার লোকজনদের বাধায় শ্যামল দেব ও তার কাজের লোকজন ভয়ে চলে যায়।

এই ব্যাপারে শ্যামল চন্দ্র দেব জানান, তিনি নিজে জায়গা ক্রয় করে এখানে ভবন নির্মাণ করছেন। রুকু নামে একজন র্দীঘদিন যাবত তার কাজে বাধা দিচেছ। রুকুর দাবি এখানে কাজ করতে হলে তাকে টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে কাজ করতে দিবে না। রুকু কয়েকবার তাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করেছে। এই সব ঘটনায় রুকুর নামে থানায় একাধিক জিডি করা আছে। তিনি সংখ্যালঘু, তাই রুকু তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এখলাছুর রহমান রুকু মিয়া জানান, এই জায়গা তিনি মোছাঃ শিরিনা আক্তারের নিকট থেকে বন্ধক রেখেছেন। তাই শ্যামল দেব টাকা না দিলে এইখানে ঘর তুলতে দেওয়া হবে না। শ্যামল দেবের নিকট কোন টাকা পাওনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে রুকু বলেন, শ্যামল দেবের নিকট টাকা পাওনা নেই তবে শিরিন আক্তারের জায়গা শ্যামল দেব কিনেছেন তাই শ্যামল দেব টাকা দিতে হবে।

মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।