মঙ্গলের বার্তা ছড়িয়ে দিতে মুক্তাঞ্চলের ‘কবিতার মিছিল’

চলো, আমরা এগিয়ে যাই।
একটি কবিতা বলতে বলতে এগিয়ে যাই।
স্লোগানের তালে এগিয়ে যাই।
কবিতা বলতে বলতে এগিয়ে যাই।

মিছিল শব্দটিকে একটু ভার ভার মনে হয়। প্রতিবাদী, বিদ্রোহী! কিন্তু কবিতা প্রতিবাদীও বটে, আবার প্রেম কিংবা বোধেরও। কবিতা মঙ্গলেরও বার্তা ছড়ায়, তারও বেশি ছড়ায় বোধের। আমাদের ভেতর থেকে স্পর্শ করে। হবিগঞ্জে ৩য় মুক্তাঞ্চল সাহিত্য উৎসব’২৩ আয়োজনের শুরু হয় কবিতার মিছিল দিয়ে।

সমস্বরে কবিতা আবৃত্তি করতে করতে সংগঠনের সদস্যরা মিছিল নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ৮ টায় হবিগঞ্জ পৌর টাউন হল থেকে যাত্রা শুরু করে। সবার হাতে ছিলো কবিতার পঙ্‌ক্তি লেখা ফেস্টুন, মুখে ছিলো কবিতার স্লোগান।

নজরুলের ‘সাম্যের গান গাই – আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই’ কিংবা শামসুর রহমানের ‘স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবী হও’ সহ অসংখ্য কবিতাকে সম্বল করে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ক্রস রোড ও কালিবাড়ি ক্রস রোড দিয়ে গিয়ে পুনরায় হবিগঞ্জ পৌর টাউন হলে এসে শেষ হয়। পুরো মিছিলের স্লোগান ছিলো কবিতা।

আয়োজকদের মধ্যে বৃন্দা পন্থ দাশ বলেন, ‘কবিতার মিছিলটি আমাদের নিয়মিত আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে। সব অশুভ শক্তিকে পাশ কাটিয়ে, হিংসা ভেদাভেদ ভুলে রাজপথে নেমে আসুক কবিতার মিছিল’।

স্বর্ণশ্রী রায় চৌধুরী বলেন, ‘মিছিলের সামনের ব্যানারটি নিজেদের হাতে সুন্দর করে লিখা, বাঁশ কিনা, ককশিট ও কাগজ কিনা, কাগজে লিখা, ককশিট বাঁশ কেটে সব ফেস্টুন সুন্দরভাবে তৈরি করা, মিছিলের স্লোগান কি থাকবে তা নিয়ে গ্রুপে আলোচনা করা, রিহার্সাল দেয়া এবার ও গতবার দুই উৎসবের কবিতার মিছিলের এই কাজগুলো করতে পুরো টিম কষ্ট করেছে, আমরা একসাথে আনন্দ করেছি। এই অভিজ্ঞতাগুলো সবারই মনে থাকবে। ভালো লাগবে যদি সামনেরবার থেকে আরো বেশি সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা পাই।’

আয়োজকরা চান, ‘কবিতার এই মিছিল ছড়িয়ে পড়ুক সারা বাংলাদেশে, সারা বিশ্বে।’