ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকার।

একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সাহায্য করতে নাগরিকদের অনুদান দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দুই দিনের সরকারি সফরে কাতার ছিলেন, সেখান থেকে তার লন্ডন সফরে যাওয়ার কথা, কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির কারণে তিনি লন্ডন সফর বাতিল করে দেশে ফিরে এসেছেন।

কাতার থেকে ফিরেই শাহবাজ বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য হওয়া একটি সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। সে বৈঠকে আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও উপস্থিত ছিল।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব দেশের বন্যা পরিস্থিতিকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশে বন্যা সংকট মোকাবিলায় জাতীয় চেতনার প্রয়োজন।

সম্প্রচারমন্ত্রী মরিয়ম বিদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

জুনের মাঝামাঝি থেকে পাকিস্তানে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত, ফলে দেশটিতে দেখা দিচ্ছে ভূমিধস ও বন্যা। এরই মধ্যে মারা গেছেন ৯০০ জনের বেশি মানুষ ও আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৯৩ জন।

বেশির ভাগ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণ সিন্ধু এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে, যেখানে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন।

এরই মধ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে তৈরি করা আশ্রয়শিবিরগুলোতে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা এক বিবৃতিতে বলেছে, সেনারা সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব ও কেপিতে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন। হতাহতের ঘটনা ছাড়াও কমপক্ষে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৯টি বাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ৩ হাজার ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে এবং ১৩০টি সেতু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম বলছে, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন।