এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ বাবর আজমের পাকিস্তান মাঠে নেমেছে। সেই লক্ষ্য পূরণের প্রাথমিক কাজটা সেরেও ফেলেছেন পাকিস্তানের বোলাররা। যেখানে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে দলটি ‘মাত্র’১২৯ রানেই আটকে দিয়েছে আফগানদের।
এবারের এশিয়া কাপে টস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ম্যাচের ফল নির্ধারণে। এ পর্যন্ত টস জেতা দল হেরেছে মোটে তিন ম্যাচে, যার মধ্যে হংকং ছাড়া শেষে ব্যাট করে হারেনি কোনো দলই। ফলে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা রীতিমতো রেওয়াজেই পরিণত হয়ে গেছে এবারের আসরে।
সেই রেওয়াজ আজকের ম্যাচেও ভাঙেননি পাক অধিনায়ক বাবর আজম। টস ভাগ্য সঙ্গ দেওয়ার পর এক মুহূর্ত দেরি না করে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত জানালেন। কারণ হিসেবে জানালেন শিশিরের কথা। একই কথা জানালেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীও; বললেন, সে কারণেই তিনিও টসে বেছে নিতেন ফিল্ডিং।
তবে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের শুরুটা মন্দ হয়নি। ২৯ বলে দলটির দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর হজরতউল্লাহ জাজাই শুরুর দুই ওভারে তুলে নেন ২০ রান। ২২ বলে তুলে ফেলেছিলেন ৩৫ রান। এরপরই ফেরেন গুরবাজ। হারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর মোহাম্মদ হাসনাইনের শিকার হয়ে জাজাইও ফিরলেন দলীয় ৪৩ রানে। দলটির ছন্দপতন ঘটক এরপরই।
পাওয়ারপ্লেতে ৪৮ রান করা আফগানদের এরপর চেপে ধরেন পাক বোলাররা। যার ফলে রানের গতিও ক্রমে নেমে আসতে থাকে দলটির। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আফগানরা তৃতীয় উইকেট খুইয়েছে ১২তম ওভারে গিয়ে, তবে পাক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মোহাম্মদ নবীর দল রানের চাকা ঘোরাতে পারেনি তেমন, ফলে রান রেটটাও আর সাতের ওপর ওঠেনি।
চারে উঠিয়ে আনা করিম জানাত ১৯ বলে ১৫ রান করে আউট হওয়ার পর নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবীরাও তেমন কিছু করতে পারেননি। ৯১ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে আফগানরা পড়ে দারুণ বিপদেই। এরপর দলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ইব্রাহিম জাদরানও ফেরেন ৩৭ বলে ৩৫ রান করে। ইনিংসের তখন বাকি মাত্র ২১ বল।
ইনিংসের বাকি সময় আর উইকেট খোয়ায়নি আফগানরা। তবে রানও করতে পারেনি খুব একটা। শেষ দিকে রশিদ খান আর আজমত উল্লাহর ওয়ানডে মেজাজে খেলা দুটি ক্যামিও তাই কেবল ১২৯ রানের পুঁজিই এনে দিতে সক্ষম হয় আফগানিস্তানকে।
আগের দিন ভারত ১৭৩ রান করে হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে। এর আগে আরও তিন ম্যাচে ১৭০ এর বেশি রান করে হেরেছে শুরুতে ব্যাট করা দল। পাকিস্তানের সামনে আজ আফগানিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্যটাকে তাই মামুলি মনে হতেই পারে।