ব্যরিস্টার সুমনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এপিপি নুরুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ব্যারিস্টার সুমনকে আদলেতে নেওয়া হয়। রিমান্ড শুনানির বিষয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য্য করা হলে বুধবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হবিগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন চৌধুরী ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এদিকে ব্যরিস্টার সুমনকে আদালতে নিয়ে আসার সময় দুপুর ১টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গনে ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় নেতাকর্মীরা সুমনকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ডিম ছুড়ে। এছাড়াও আদালত চলাকালীন সময়ে ব্যরিস্টার সুমনের এক সমর্থক আদালতের ভেতরের ভিডিও ধারণ করার চেষ্ঠা করলে আইনজীবিরা তাকে ধাওয়া করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এপিপি নুরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গত ১৬ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ ৯৭ আসামির নাম উল্লেখ করে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এছাড়াও গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি।

ব্যরিস্টার সুমনের আইনজীবি মো. সহিদুল ইসলাম বলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিথ্যা মামলায় সুমনকে জড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন- আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আমরা আরো বলেছি এই মামলায় ব্যরিস্টার সুমনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মামলায় বলা হয়েছে তিনি পরোক্ষাবে হুমক দিয়েছেন। কিন্ত তিনি কার কাছে হুকুম দিয়েছে কি ভাবে দিয়েছেন তার কোন সত্যতা নেই। মূলত তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।