বিয়ানীবাজারে বৃষ্টি-বাগড়ার মাঝে চলছে ইভিএমে ভোটগ্রহণ

উৎসবমুখোর পরিবেশে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বিয়ানীবাজার পৌরসভার দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন ভোটাররা। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে কেন্দ্রেগুলোতে পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতিই বেশি।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে একজন করে ৯জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় বিজিবি, পুলিশ সদস্য ও র‌্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া প্রতিকেন্দ্রে ৮ জন পুলিশ ও ৯ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর সাধারণ ভোটারদের মধ্যেই ইভিএমে ভোট প্রদান নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই। এসব ভোটারদের অভিযোগ, ইভিএমে তাদের ফিঙ্গার নিচ্ছে না। প্রিজাইডিং অফিসার তাদেরকে বিকেল ২টার পর আসতে বলেছেন। আবার ইভিএমে ভোট প্রদান শেষে অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন : বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচন : ‘প্রত্যাবর্তন নাকি পরিবর্তন’

৬নং ওয়ার্ডের ভুবন মিয়া নামে একজন নতুন ভোটার জানান, ডিজিটাল মেশিনে প্রথমবার ভোট দিলাম। খুব ভালো লাগছে। এই পদ্ধতিতে ভোট প্রদান অনেক সহজ। তবে আমার গ্রামের অনেক ভোটারের ফিঙ্গার নিচ্ছে না মেশিন। কর্মকর্তারা তাদেরকে ২টার পর আসতে বলে দিয়েছেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে ১০জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৮ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০টি ভোটকেন্দ্রে ২৭ হাজার ৭৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অজি উদ্দিন (নারিকেল গাছ)। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, খুব সুন্দর পরিবেশে তিনি ভোট দিয়েছেন। তবে অনেক ভোটার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার কারণে ভোট দিতে পারেননি। বিষয়টি তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গুরুত্বসহকারে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। ৯ ওয়ার্ডের ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা মাঠে রয়েছে।