বিশ্বনাথে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয় লাশ

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর শিশুকন্যা হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে সিআইডি। ওই শিশুকন্যা সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার বীর কলস গ্রামের গাড়িচালক শাহিনুর মিয়ার মেয়ে খাদিজা বেগম (৪)।

শাহিনুর মিয়ার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে বিশ্বনাথ উপজেলার সিঙ্গেরকাছ বাজারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুস সালামের বাসার নিচতলায় ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করে আসছিল। একই বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে বাসার সামনে একটি দোকানে চাঁদশি চিকিৎসালয় নামে ফার্মেসির ব্যবসা করে আসছিলেন ঘাতক কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রী (৬৫)। তিনি বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার বেদগর্ভ গ্রামের মৃত জগবন্ধু মিস্ত্রীর ছেলে।

গত রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে সিঙ্গেরকাছ বাজার থেকে শিশুকন্যা খাদিজা বেগম হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ওসি আশরাফ উজ্জামান। খাদিজা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখেন বলে সোমবার (২৮ নভেম্বর) আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রী।

প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল সকালে ওই বাসার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিশুকন্যা খাদিজা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই সালের ২ মে বিশ্বনাথ থানায় মামলা করেন খাদিজার দাদা আসমত আলী।