বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার

বিশ্বজুড়ে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও ১ হাজার ৫৪০ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৯ জন।

শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এতে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৬ কোটি ৬২ লাখ ৭২৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৩ জন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এ দেশটিতে করোনায় আরও ২৯৯ জন মারা গেছেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৭৫ হাজার ১৪৫ জনের। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৯৫৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্ত মোট হলেন তিন কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ১১৭ জন। এরপর দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, তাইওয়ান ও ফ্রান্স।

এদিকে মোট মৃত্যু ও সংক্রমণের দিক দিয়ে তালিকার প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৩ জন করোনায় মারা গেছেন। এছাড়াও মোট নয় কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ৫৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ২০৭ জন। এ সময়ে দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৩৭ জন।

মোট সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৮৭৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে দেশটিতে করোনায় কারও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। ভারতে এ পর্যন্ত চার কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ জন।

এদিকে, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজার ২২৫ জনে। একই সময়ে নতুন করে এক হাজার ৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৩৩ জনে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।