বিজয় দিবসে শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

সাংবাদিক আব্দুর রহমান ভুট্টো ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলির স্বদেশ আগমন উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের মতনবিনিময় সভা ও মিলন মেলা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার গ্রান্ড তাজ হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হাই ডনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলা লন্ডন চ্যানেলের সম্পাদক আব্দুর রব ভুট্টো, দৈনিক খোলা কাগজের নির্বাহী সম্পাদক মো.মনির হোসেন, সাংবাদিক আহমেদ ফারুক মিল্লাদ, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত রবিন, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর সালাউদ্দিন, সাংবাদিক পলাশ চৌধুরী , ইসমাইল মাহমুদ, কাওছার ইকবাল, ইসমাইল মাহমুদ, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন প্রমুখ।

সভায় বাংলা লন্ডন চ্যানেলের সম্পাদক আব্দুর রব ভুট্টো বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শৃঙ্খলিত করে রাখা হয়েছিল। সাংবাদিকতার অপমৃত্যু হয়েছিল৷ ভারতের মদদপুষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী দুঃশাসনে দেশের সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারেননি। সরকারের অন্যায়- অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারাই কলম ধরেছে তাদেরকে ভয়াবহ নিপিড়ন নির্যাতন, জেল জুলুম ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছে।

অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক সংবাদকর্মী ‘খুন ও গুমের’ শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার রোষানলে পড়ে গেল ১৫ বছর তাকে লন্ডনে পালিয়ে জীবন বাঁচাতে হয়েছে।

আবু সাইদ, মুগ্ধসহ গণুভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সাংবাদিক এম ইদ্রিস আলী বলেন – যদি জুলাই আগস্টের বিপ্লব না হতো আজ দেশে ফিরে আসতে পারতাম না। মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। সেদিন আমিসহ আমার পরিবারের ওপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ও আওয়ামী দোসরদের নিপীড়নের ঝড় গিয়েছে তা এখনও আমাকে তাড়া দেয়। তাদের স্টিমরোলারে আমার স্ত্রী ব্রেইন স্ট্রোক করে। অথচ আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর পোষ্টারিং শহরে অফিস পাড়ায় রেলস্টেশনে লাগিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। শুধু তাই নয় আমার সন্তানেরা স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে পড়েছিল। বিচার দেয়ার জায়গা পাইনি।

তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে -সকল ভেদাভেদ ভুলে নিজেদের অধিকার ও পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাই আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় সকলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এসময় স্থানীয় সকল সাংবাদিকদের এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় সৈয়দ আমিরুজ্জামান, সাংবাদিক আক্তার হোসেন শামীম, আনোয়ার হোসেন জসিম, শিমুল তরফদার, এম এ রকিব, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, আতাউর রহমান কাজল, আবুজার বাবলা, শফিকুল ইসলাম রুম্মন,শাহাব উদ্দিনা আহমেদ, আব্দুস শুকুর, আমজাদ হোসেন বাচ্চুসহ কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী উপস্তিত ছিলেন।