সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে। প্রতিদিন ঘটছে মানুষের প্রাণহানি। আর এই সময়েই জগন্নাথপুর ড্রেন পরিষ্কার না করা, বাসা বাড়ির জমা ময়লা পরিষ্কার না করার কারণে পৌরসভার বাসুদেব বাড়িসহ অন্যান্য এলাকায় বসবাসরত মানুষ চরম দুর্ভোগে জীবনযাপন করছেন।
ড্রেন পরিষ্কার না করার ফলে পৌর এলাকায় বসবাসরত মানুষের চলাচলেও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতা তৈরী হচ্ছে। খাল দখল করে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণের মাধ্যমে পানি চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন খাল নির্ধারণ করে চিহ্নিত করার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের কাজ করছে না।
এদিকে রাস্তায় জমে থাকা পানি আর বাসা-বাড়ির ময়লা আর জীবাণুবাহী মশা ও কীটপতঙ্গে জগন্নাথপুর পৌর শহরের মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। এতে মানুষের শরীরে সহজেই রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত ড্রেন পরিষ্কার ও বাসা-বাড়ির ময়লা সরিয়ে নেয়ার জন্য পৌরসভাকে অবহিত করলেও পৌরসভার পাঠানো লোকদেরকে অতিরিক্ত টাকা প্রদান করতে হয় বলে অভিযোগ তাদের। আবার অনেক সময় কাজের কাজ কিছুই হয় না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসুদেব বাড়ির রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষজনসহ যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। আর জমে থাকা পানিতে মশার উপদ্রব অসহনীয় হয়ে ওঠেছে। রয়েছে ডেঙ্গু ঝুঁকিও।
এদিকে সংযোগ সড়কে পানি জমে থাকার কারণে মানুষের চলাচল করতেও অসুবিধা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী নানা সমস্যায় রয়েছেন। জগন্নাথপুর পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন থাকায় এবং মশার ওষুধ না ছিটানোর ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জগন্নাথপুর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার বিকলেষ চক্রবর্তী জানান, ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ময়লা সরিয়ে নিতে দেরী হচ্ছে। আমরা দ্রুত বাসা-বাড়িতে জমে থাকা ময়লা সরিয়ে নেব।’
জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ জানান, খাল বন্ধ রাখার কারণে বাসুদেব বাড়ির রাস্তাটির পানি সরতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা প্রসাশনের উদ্যোগে খাল চিহ্নিত করেছি। যারা দখল করে নিয়েছে, তাদেরকে বলা হয়েছে ড্রেনের কাজ শুরু হবে, সরকারি জায়গা ছাড়ার জন্য। আর মশার ওষুধ দেয়ার জন্য লোক যাবে বলে জানান তিনি।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মধু সদন ধর বলেন, ‘বাসুদেব বাড়ির রাস্তা খুবই খারাপ, রয়েছে মশার উপদ্রব। পৌর কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কার করা খুব জরুরী মনে করি।’
তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেনের কাজ শুরু করবেন বলে জানান জগন্নাথপুর পৌর মেয়র আক্তারুজ্জামান আক্তার।