প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে পানি। বানের জলে তলিয়ে যাচ্ছে শহর এবং লোকালয়। সিলেটের নিম্নাঞ্চল ভাসিয়ে নগরময় এখন বানের জল।
এরই মধ্যে সুরমার পানি উপচে নগরের তালতলা পয়েন্ট তলিয়ে গেছে। জামতলা, সোবহানীঘাট, তেরোরতন, উপশহর, কালীঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকাতে পানির দৌরাত্ম্য। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বড় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি উঠেছে। কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও ডুবেছে কোমর পর্যন্ত।
সিলেটের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কালীঘাটের বিভিন্ন দোকান তলিয়ে যাওয়ায় সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দুপুর ৩টা পর্যন্ত কানাইঘাটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শেষ তিন ঘন্টায় ২ সেন্টিমিটার কমেছে। সিলেটের পার্শ্ববর্তী সুরমা নদীর পানি আরও ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ও সারিঘাট পয়েন্টে সারি নদীর পানি বিপদসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সকাল থেকে এপর্যন্ত কানাইঘাটে সুরমা ও জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি কিছুটা কমেছে।
এমন বাস্তবতায় ভারত থেকে আসা উজানের ঢল ধলাই, পিয়াইন ও সারি নদী হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ হওয়াতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
ছবি : মিঠু দাস জয়