দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। ভারতের উড়িষ্যায় জন্ম নেওয়া ও কলকাতাতে বেড়ে ওঠা সুমনের বাংলাদেশের প্রতিও বেশ টান রয়েছে। সুযোগ পেলেই ঢাকায় এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
এবার ফেসবুকে এক পোস্টে এই গায়ক জানালেন, নিজের শেষ জীবনটা বাংলাদেশেই কাটাতে চান। কবীর সুমনের ইচ্ছা, তিনি মারা গেলে যে‘ন তার মরদেহ বাংলাদেশেরই কোনো হাসপাতালে কাজে লাগানো হয়।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া কবীর সুমনের দীর্ঘ সেই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “এই কথা আমি আগেও অনেক বার বলেছি। তাও ফের বলছি কারণ আমার কথায় কোনও কাজ হচ্ছে না। এমন নয় যে সনাতনধর্মীয় নামধারী কোনও বঙ্গজ আমায় সম্মান করেন না। মুষ্টিমেয় কিছু বঙ্গজ করেন। কিন্তু বড্ড বেশি সংখ্যক সনাতনধর্মীয় বঙ্গজ আমায় ঢাক পিটিয়ে ঘৃণা করেন, এবং তা জাহির করে সনাতনী সুখ পান। আর এক শ্রেণীর সনাতন-বঙ্গজ আছে যারা আমায় কবীর নামে ডাকতে চায় না। এরা, যা দেখেছি ‘বামপন্থী’। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আমার নাম ভারতের সংবিধান মোতাবেক, ঘোষিতভাবে কবীর সুমন। ফার্স্ট নেম কবীর। সার্ন নেম সুমন।”
“যা বুঝেছি, আমায় নির্দ্বিধায় সম্মান করেন যাঁরা, প্রাপ্য সম্মানটুকু দেন যাঁরা তাঁরা সদলবলে বাঙলাদেশের নাগরিক। পশ্চিম বঙ্গের সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের মতো বাংলাদেশের কেউ আমায় সমানে, যে কোনও উপায়ে অপমান করে যান না।”
“আমার শেষ জীবন আমি যদি বাংলাদেশে থেকে আমার মাভাষার সেবা করতে পারতাম, বাংলা খেয়াল শেখাতে পারতাম আমার আজকের স্বাস্থ্য যতটা অনুমতি দেবে ততটা অন্তত।”
“আমি agnostic।
মরে যাবার পর কোনও ধর্মীয় শেষকৃত্যের প্রশ্নই উঠবে না। আমার দেহ দান করা আছে। বাংলাদেশে মরলে সেখানকার কোনও হাসপাতালে আমার শরীর কাজে লাগানো যেতে পারে।”