বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সেই শামীমাকে নিয়ে তদন্তের ঘোষণা ট্রুডোর

যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেওয়া শামীমা বেগমকে নিয়ে ফের তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডিয়ান গোয়েন্দা এজেন্ট শামীমাকে অপহরণ করে যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় পাঠায়-ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এমন দাবির পর এই ঘোষণা দিলেন ট্রুডো।

শামীমা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও দেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, শামীমা কখনোই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাননি।

বাংলাদেশে শামীমাদের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তার বাবা আহমেদ আলীর দুই বিয়ে। দুই সংসারে তার চার মেয়ে। শামীমার মায়ের নাম আসমা।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বিবিসিতে প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কানাডার এক গোয়েন্দা এজেন্টের হাতে দুই বান্ধবীসহ অপহরণের পর সিরিয়ায় যান শামীমা।

এই প্রতিবেদন সামনে আসার পর ট্রুডো সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দারা সবসময় কঠিন লড়াইয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের প্রতিটি পদক্ষেপই কঠোর নিয়ম এবং আদর্শে আবদ্ধ। ’

‘আমি জানি অতীতের নির্দিষ্ট কিছু অভিযান এবং ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা অবশ্যই এটি খতিয়ে দেখব।’

শামীমা মাত্র ১৫ বছর বয়সে ইস্ট লন্ডনের একটি স্কুল থেকে পালিয়ে সিরিয়া চলে যান। এরপর সেখানে বিয়ে হয়। সন্তান হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে স্বামী-সন্তান সবই তিনি হারিয়েছেন। এখন একটি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

শুরুর দিকে শামীমা ব্রিটেনে ফিরতে চাননি। কিন্তু আইএসের পতনের পর নিজের দেশে ফিরতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। বিষয়টি আদালতে গড়ালে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। শামীমার আইনজীবী এখন দাবি করছেন, নিজের ইচ্ছায় তিনি সিরিয়ায় যাননি। তাই তাকে ব্রিটেনে ফিরতে দেওয়া উচিত।