বন্যার্তদের পাশে ১৪ বন্ধুর ‘টুগেদার ফর বাংলাদেশ’

সিলেটের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ১৪ জন বন্ধুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘টুগেদার ফর বাংলাদেশ’। গত ৪ দিন ধরে নৌকাযোগে ঘুরে ঘুরে সুনামগঞ্জ জেলার বন্যাদুর্গত তাহিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ১৫শ পরিবারের মাঝে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি, দেয়াশলাই, ওষুধ, স্যানিটারি প্যাডসহ বিভিন্ন ধরণের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে সংগঠনটির সদস্যরা।

টুগেদার ফর বাংলাদেশ সংগঠনের পরিচালক এস এম নাজমুস সাকিবের পরিচালনায় গত বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ সদস্যের একটি দল তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যার্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, কনকর্ড ফার্মাসিটিক্যালস, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহয়তায় এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনটি।

এ ব্যাপারে টুগেদার ফর বাংলাদেশের পরিচালক এম এম নাজমুস সাকিব বলেন, ‘টুগেদার ফর বাংলাদেশ তাহিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের যেসব জায়গায় অন্য কেউ ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যায় নি, সেসব অঞ্চলে বন্যার্ত জনগণের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমার দলের সাথে আমরা বন্যার্ত গ্রামবাসীদের শুকনো খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন স্যানিটারি প্যাড, মোমবাতি, দেশালাই সরবরাহ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আরেকটি বিষয় যা আমার মনকে চরমভাবে ব্যথিত করেছে তা হলো এই বন্যায় অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি এবং ভাঙনে জায়গা জমি হারিয়েছে এবং বর্তমানে তারা গৃহহীন। দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ থাকবে যতটা সম্ভব তহবিল সংগ্রহ করুন এবং তাদের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসুন যাতে সাম্প্রতিক বন্যা মোকাবিলা করতে পারে।’

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, এস এম নাজমুস সাকিব, শিহাব চৌধুরী শাওন, আল মাহমুদ ফাহিম, ফয়েদ রিয়াদ, শুভ আদিত্য, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ইশতিয়াক প্রত্যয়, ফারহান মুকিম, ফয়েজ, ফাহিম আওসান, শায়ের নূর, অর্ণব নাঈম, রাজিম।

বন্যাদুর্গতদের সহায়তা প্রদানের জন্য সামর্থবানদের ০১৯৬০৪১৩৭৪৯ নম্বরে অর্থ সহায়তা বিকাশ করার আহবান জানান নাজমুস সাকিব।

উল্লেখ্য, টুগেদার ফর বাংলাদেশ একটি যুব সেচ্ছাসেবী সংগঠন। করোনা মহামারীর সময়ে ২০২০ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে সংগঠনটি। তাদের সফল কার্যক্রম যেমন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাপড়, শীতবস্ত্র বিতরণ, করোনায় মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা কর্মসূচি, পুরান ঢাকার ঐতিহ্য রক্ষা, প্রাণী ও ঘোড়াদের মাসব্যাপী খাদ্য বিতরণ ইত্যাদি।