স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লা, ফেনীসহ অন্তত ১৩টি জেলার মানুষ এই বন্যায় অবর্ণনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অসংখ্য মানুষ ও সংগঠন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত সেচ্ছাসেবী সংস্থা নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন, ২০০৩ সাল থেকে শিক্ষা,সাহিত্য,সংস্কৃতি ও আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। নকশী বাংলা ফাউন্ডেশনের একটি টিম বিগত তিন দিন কুমিল্লার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র এবং মেডিকেল ক্যাম্প ও ফ্রী ঔষধ বিতরণ সম্পন্ন করেছে। প্রথম ধাপে চাল, ডাল, তেল,পিয়াজ,চিনি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছিল। বন্যার্ত কয়েকশত পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে হাতে হাতে পোঁছে দেওয়া হয় খাবার প্যাকেট।
২য় ধাপে ছিল বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের মধ্যে, শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা বিতরণ করা হয়। ৩য় ধাপে ছিল মেডিকেল ক্যাম্প। মেডিকেল ক্যাম্পে ছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপচেপড়া ভীড়। পানিবাহিত বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে। এসময় অসুস্থদের মধ্যে ফ্রী ঔষধ বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি প্রিন্সিপাল শাহীনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মাজহারুল ইসলাম জয়নালের পরিচালনায় স্বেচ্ছাসেবী একটি টিম এ ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। এসময় স্বেচ্ছাসেবী টিমের নেতৃত্বদানে ছিলেন, ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ উসমান গণি, প্রজেক্ট বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মো: হাবিবুর রহমান। কুমিল্লায় আমাদের বিভিন্ন ধাপের কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় দিকনির্দেশনায় ছিলেন সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী গুলজার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে কার্যক্রমে আরও যারা অংশগ্রহণ করেন, ফাউন্ডেশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল রেশমা, সদস্য আব্দুল বাসিত, একরাম হোসেন, আলম চৌধুরী,রাজেন্দ্র মুখ্য, আরাফাত সানি প্রমুখ।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জয়নাল বলেন, এখনো বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে জনজীবন অত্যন্ত সূচনীয়।খাদ্যবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ফ্রি চিকিৎসাসেবা বর্তমানে খুবই জরুরী। আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা হিসেবে রয়েছে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম।