বন্ধুকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতে পারলেন না বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের দীঘলবাক গ্রামের তরুণ মাহমুদ হোসেন (২৪)। এর আগেই নিজ বাড়ির সামনের সড়কে এক মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মাহমুদ হোসেনের বন্ধু আব্দুর রহমান (২৩)। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের দিঘলবাক এলাকার নিজ বাড়ির সামনে অজ্ঞাত যানের সাথে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণ মাহমুদ হোসেন দীঘলবাক এলাকার মৃত মাওলানা মইন উদ্দিনের ছোট ছেলে। আহত অপর মোটরসাইকেল আরোহীর হচ্ছেন একই ইউনিয়নের গাঙপার এলাকার ছফর উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মাহমুদ হোসেন তার বন্ধু আব্দুর রহমানকে আনার জন্য প্রথমে স্থানীয় বালিঙ্গা নয়াবাজারে যান। সেখান থেকে সিলেটে যাবার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে নিজ বাড়ির সামনে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অজ্ঞাত যান তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মাহমুদ হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তার সাথে থাকা অন্য আরোহী আব্দুর রহমান গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় ছুটে এসে মাহমুদের মরদেহ উদ্ধার করেন এবং আহত আব্দুর রহমানকে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সিলেটে নিয়ে যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে, তরুণ মাহমুদ হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এলাকাজুড়ে বইছে শোকের ছায়া। মাহমুদের পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে শোকে বিহব্বল পুরো এলাকাবাসী। তারা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুরুতর আহত মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুর রহমান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। অন্যদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে মাহমুদের মরদেহ পরিবারের নিকট পৌছার পরই জানাজা ও দাফনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।