সম্প্রতি বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধায়নে আয়োজন করা হয় মনকমানি জাতীয় শরীর গঠন প্রতিযোগিতা। ২০ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে বসে তিনদিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা। এ আসরটি ঘিরে বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এবার সে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণে রানার্সআপ ঘোষণা করা হয় জাহিদ হাসান শুভ নামের একজন বডি বিল্ডারকে। তবে আয়োজকদের সে সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন শুভ। এর পরপরই অর্জিত পুরস্কারকে লাথি মেরে ফেলে দিতে দেখা যায় জাতীয় পর্যায়ে চারবার স্বর্ণজয়ী এ বডি বিল্ডারকে।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্যারিস্টার সুমন তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি খেলাধুলায় উগ্রতাকে সমর্থন করি না। তবে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ আসে, তখন মানুষের ক্ষোভে ফেটে পড়াটা স্বাভাবিক।
ভিডিওতে বডি বিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ বলেন, টাকা-পয়সা বড় কথা নয়। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। আসর শুরুর আগে আমি চারদিন পানি খাইনি। এমন ঘটনা কিডনিকে শেষ করে দিতে পারে। এর জন্য মস্তিষ্কের ওপরও ব্যাপক চাপ আসে।
শুভর সঙ্গে ফেডারেশন কী ধরনের অন্যায় করেছে, ব্যারিস্টার সুমনের এমন প্রশ্নের জবাবে শুভ বলেন, আমার শরীর এতো সুন্দর থাকার পরও আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। তবে কি আমি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি বলে আমার সাথে এমন অবিচার করা হয়েছে? শুধু আমি না, এর আগেও অনেক বডি বিল্ডারের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে আমার লাথি মারার ঘটনাটি নিতান্তই আবেগের বশে হয়ে গিয়েছিল। আমার সেই লাথি ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এমন অবিচার আর না পায়।
শুভর সঙ্গে ফেডারেশনের এমন দুর্নীতির ঘোর প্রতিবাদ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, যে এলাকায় কৃতী সন্তানদের সম্মান দেওয়া হয় না, সেই এলাকায় নতুন করে আর কৃতী সন্তান পয়দা হয় না। এজন্যই আমি বডি বিল্ডিং ফেডারেশনকে অনুরোধ করবো একজন শুভকে শেষ করে দিয়ে, আরেক শুভকে তৈরি করে দেখান।
এসময় শুভকে আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ওর জন্য আইনি যতটুকু সাহায্য দরকার, আমি করবো। সবাই জানুক, কিছু মানুষ এখনো শুভদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।